সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক:
১৯৫২র ভাষা সৈণিক ভৈরবের জহুরুল হক মরণের আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত বা মর্যাদা নিয়ে মরতে চান। মরণের আগে সরকারের দেয়া স্বীকৃত টুকু জীবদ্দশায় দেখে যেতে চান এ ভাষা সৈণিক। এ দাবী শুধু তার নয় মৃত্যু বরণকারী ভাষা সৈনিক আঃ মতিনসহ স্থানীয় সকল ভাষা সৈণিক পরিবারের ও একই দাবী।
১৯৫২ সালে নিজ মাতৃ ভাষার জন্য সালাম,রফিক জব্বারসহ অনেকেই বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। কিন্ত ভাষার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। তেমনি ৫২র ভাষা আন্দোলনে তৎকালীণ সময়ে ঢাকার রাজপথে ও ভৈরবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে ছিলেন তৎকালীণ ছাত্র নেতা ভৈরবের আলহাজ্ব জহুরুল হক,আঃ মতিনসহ অনেকেই। আঃ মতিনসহ অনেকেই মৃত্যুবরণ করলেও তাদের একমাত্র সহকর্মী জহুরুল হক নানা রোগে শোকে সে সময়ের স্মৃতি নিয়ে বেচেঁ আছেন। ঠিক মতো কথা বলতে ও হাটতে পারেনা। ভাষা আন্দোলনের সে সময়ের অনেক স্মৃতিই এখন মনে করতে পারছেনা। তৎকালীন সময়ে জহুরুল হক, আঃ মতিন ভৈরব কেবি পাইলট হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তারা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতের জন্য ভৈরবে ও ঢাকাতে আন্দোলন সংগ্রামে করেন। শুধু আন্দোলনে যোগদানই করেন নাই। তারা তখন ভৈরব থেকে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে ঢাকাতে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতাদের কাছে সংগ্রহ করা এসব অর্থ পৌছে দিতেন । ভৈরবের অনেক ছাত্ররাই ঢাকাতে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী পুলিশের লাঠি-পেটা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন। কোন নির্যাতন তাদের আন্দোলনকে থামাতে পারেনি। সে আন্দোলনের ঢেউ এ ভৈরবে তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যান। ভাষা আন্দোলনই ছিল এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সূচনা। যা পরবর্তীতে সংগ্রামের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্ত কোন সরকারের আমলেই এসব ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা মর্যাদা দেয়নি। তাই ভাষা সৈনিক ও তাদের পরিবারের দাবী তাদেরকে যেন মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা স্বীকৃতি দেয় সরকার।
এ বিষয়ে ভাষা সৈনিক জহুরুল হক বলেন, ভৈরব থেকে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে ঢাকাতে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতাদের কাছে সংগ্রহ করা এসব অর্থ পৌছে দিতেন । ভৈরবের অনেক ছাত্ররাই ঢাকাতে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী পুলিশের লাঠি-পেটা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন । কোন নির্যাতন তাদের আন্দোলনকে থামাতে পারেনি। ঢাকার পাশাপাশি রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে ভৈরবে ও তারা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যান। কিন্ত কোন সরকারই তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি বা মর্যাদা দেয়নি। তাই মৃত্যুর আগে ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা মর্যাদা চান এ ভাষা সৈনিক।
এ বিষয়ে মরহুম আঃ মতিনের ছোট ভাই ভৈরব হাজী আসমত কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক আঃ বাসেত আক্ষেপ করে বলেন, ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী ফসল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। কিন্ত এ দেশের মুক্তেিযাদ্ধাদেরকে সরকার যেমন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছে। তেমনি ভাষা আন্দোলনে যারা অবদান রেখেছে তেমনি সারা বাংলাদেশের ভাষা সৈনিকদের তালিকা করে তাদেরকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি বা মর্যাদা দেয় সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম আন্দোলনকারি আলহাজ্ব জহুরুল হকের পুত্র জাহিদুল হক জাবেদ ও সবুজ তারা জানান, ভাষার মাসে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বই মেলা যদি ভাষা সৈনিকদেরকে তাদের প্র্প্যা সম্মাটুকু দেয়। তাহলে মরণের আগে এদেশের ভাষা সৈনিকরা সম্মান নিয়ে মরতে পারলে তাদের আত্মায় শান্তি পাবে। তাছাড়া সরকার যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয় এ দাবি ও জানান তারা।