সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
ইউক্রেন সংকটে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়া আর উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিকালে ম্যাক্রোঁ রাশিয়া সফরে করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। মস্কো থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে গিয়েছেন।সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে ও যুদ্ধ এড়াতে মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁ মস্কো থেকে কিয়েভে ছুটে যান তিনি।
সেখানে নতুন কোনো ঘোষণা না দিলেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার আলোচনা সংকটের আরও বিস্তৃতি ঠেকাতে সহায়ক হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি।
সোমবার পুতিনের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ পাঁচঘণ্টা বৈঠক করেন। ওই বৈঠক নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, পুতিনকে আমি শক্তিশালী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছি। তার সঙ্গে আলোচনা করে বুঝেছি ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার অবনতি কিংবা বৃদ্ধি কোনোটাই হবে না।
কিয়েভে পৌঁছানোর পর ম্যক্রোঁ বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল খেলা (গেম) ঠাণ্ডা করা, উত্তেজনা হ্রাস করা এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা । তার সফরের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না— এমন কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন ম্যাক্রোঁর দেওয়া কয়েকটি প্রস্তাব পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কাজে লাগবে।
পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি, দুজনই তাকে ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; ওই চুক্তিতেই বিদ্যমান বিরোধ মীমাংসার পথ আছে, বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেন, এই যৌথ সংকল্পই শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ, কার্যকর রাজনৈতিক সমাধান সৃষ্টির একমাত্র উপায়। কথা এবং কাজে শান্ত থাকাই সব পক্ষের জন্য জরুরি।
ইউক্রেন সংকট ঘিরে রাশিয়ার হুমকি বেলায় ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ পোলান্ড, রোমানিয়ায় ৩ হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরমধ্যে মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ইউক্রেনের কাছে মস্কোর সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করেছে; বুধবার আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ বসফোরাস প্রণালী অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের কর্মকর্তারা।