বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
আমিনুল হক সাদী, চীফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের যুব ও যুব নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দূঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘যুব উন্নয়ন পরিষদ’ এর বাস্তবায়নে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠেয় ৭দিন ব্যাপী পারিবারিক হাস মুরগী পালন প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের নীলগঞ্জ রোডস্থ ‘যুব উন্নয়ন পরিষদ’ এর কার্যালয়ে এসব সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রভাষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম। মহিনন্দ ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমিনুল হক সাদী।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক শিল্পী নিরব রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম নাহিদ, প্রচার সম্পাদক সেলিম, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের সহসভাপতি এনামুল হক বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহবিয়া আলম নাদিম, কোষাধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন মানিক,মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কবি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। পরে স্ব্চ্ছোসেবী সংস্থা যুব উন্নয়ন পরিষদ ও মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যুব উদ্যোক্তা,দক্ষ খামারী,যুব সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জানা যায়, জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের প্রশিক্ষিত আত্মকর্মী যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী ২০১০ সালের ৩ মার্চ বেকার যুব ও যুব নারীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘যুব উন্নয়ন পরিষদ’ নামের এ সংগঠনটি। এ সংগঠনের মাধ্যমে বেকার যুব ও যুব নারীদেরকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এ সংগঠনের মাধ্যমে ২ সহস্র্যাধিক বেকার যুব ও যুব নারীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এরমধ্যে কয়েক শতাধিক ব্যক্তি স্বাবলম্বী হয়েছেন।
যুব উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী বলেন,২০০৪ সালে কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি। মাস্টার্স ডিগ্রী পড়েও কোন সরকারী চাকুরীর দিকে না থাকিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজে নেমে যাই। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহায়তায় ‘যুব প্রশিক্ষণ ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র’ গড়ে তোলি। আমার একটু প্রচেষ্টায় বেকার যুব সম্প্রদায় স্বাবলম্বী হলে নিজের কাছে বড় শান্তি লাগে। তাই কিছু সংখ্যাক স্বেচ্ছাসেবীকে পুরস্কার প্রদান করে তাদেরকেও উৎসাহিত করেছি।