বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জ উপজেলার করিমগঞ্জে মায়ের পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের চরদেহুন্দা গ্রামে নিজের মেয়েকে গলা চেপে হত্যা করে এক পাষন্ড মা ও তার পরকিয়া প্রেমিক।
গত ৩ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের চরদেহুন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত মোছাঃ মায়শা আক্তার (১৮) দেহুন্দা ইউনিয়নের চর দেহুন্দা গ্রামের আব্দুল্লাহর মেয়ে।মায়শা কওমী মহিলা মাদ্রাসার মেশকাতের ছাত্রী ছিলেন।পর দিন বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর সকালে লাশ উদ্ধার করে মা স্বপ্না আক্তারকে আটক করে পুলিশ।ঘটনার পর লাপাত্তা হয়ে যায় পরকিয়া প্রমিক ফাইজুল।তাকে ধরতে অভিযানে নামে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার বনানী এলাকা থেকে পরকিয়া প্রেমিক ফাইজুলকে আটক করে করিমগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল।আটক ফাইজুল করিমগঞ্জের চামড়াঘাট এলাকায় আশ্রব আলীর ছেলে।
আটক ফাইজুলকে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে সে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,স্বপ্ন আক্তারের সাথে তার খালাতো ভাই ফাইজুলের পরকীয়া সম্পর্কের কথা তার মেয়ে মায়শা আক্তার (১৮) জেনে গেলে মায়শা তার মাকে ইসলামী জ্ঞান দ্বারা অনেক ভাবে বুঝায় শেষ পর্যন্ত বুঝাতে ব্যার্থ হলে মায়শা তার বাবার কাছে সব কিছু বলে দিবে বলে, সে কথা শুনে তার মা স্বপ্না আক্তার ও তার খালাতো ভাই দুজনে মিলে মাইশাকে গলায় চেপে হত্যা করে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মা স্বপ্না আক্তারকে সেদিনই আটক করা হয়।এরপর পলাতক প্রেমিক ফাইজুলকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘাতক মা ও পরকিয়া প্রেমিক ফাইজুল দুজনই ঘটনায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।