একুশে ডেস্ক:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যেন আরও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ডাকা এ আন্দোলনে নতুন নতুন কর্মসূচি যুক্ত হচ্ছে। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনের সামনে মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন।
সোমবার ভিসির জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে শিক্ষকরা তার বাসভবনে ঢুকতে চাইলেও তাদের বাধা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয়, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন, একপর্যায়ে আমরণ অনশনে যান আন্দোলনকারীরা। অনশনরত অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারীরা ভিসির পদত্যাগ চেয়ে তার বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর এবার ভিসির বাসভবনে খাবার পাঠাতে বাধা দিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনের পঞ্চম দিনে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন রোববার রাতে।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার দুই সিটি কাউন্সিলর ভিসি ও আন্দোলনকারীদের জন্য খাবার নিয়ে গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ও ভিসির জন্য বেলা ৩টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগপন্থি কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান ও ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ খাবার নিয়ে গেলে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এ ছাড়া সিসিকের দুই কাউন্সিলরকে ভিসির বাসবভনে খাবার নিয়ে ঢুকতে দেননি তারা। এমনকি দেখাও করতে দেননি ভিসির সঙ্গে। পরে সেই খাবার ক্যাম্পাসের বাইরে গরিব ও পথশিশুদের মধ্যে বিলিয়ে দেন কাউন্সিলর ইলিয়াছ ও কামরান। খাবারের মধ্যে ছিল বিরিয়ানি ও পানি।
কাউন্সিলর কামরান বলেন, আমরা মানবিকতার তাড়নায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বাসায় আটকে পড়া ভিসির জন্য কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে খাবার ফিরিয়ে দেন এবং আমাদের ভিসির বাসায় ঢুকতে দেননি। পরে আমরা সেগুলো গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। অপরদিকে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।