বুধবার, ১৮ Jun ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ষষ্ঠ ধাপের ২১৮টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ভবনে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ধাপে সবকটি ইউনিয়ন পরিষদেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়। ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে। গত রোববার সব ধরনের অফিসে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা দেয়। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণ চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইসি।
আরও জানা গেছে, এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গত বছরের এপ্রিলে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। ওই নির্বাচনে মাত্র ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট পড়ে। ওই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় পড়েছিল ইসি। পরবর্তীতে গত জুনে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের ২০৪টিতে ভোট নিয়েছিল। বাকি নির্বাচন স্থগিত করে। এবার বর্তমান কমিশনের মেয়াদের শেষ সময়ে তফশিল ঘোষিত সব নির্বাচন শেষ করে যেতে চায় কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে নতুন করে আর কোনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করবে না।
সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ জানুয়ারির নির্দেশনা জারির প্রেক্ষিতে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে কী না-সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে নথি উপস্থাপন করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সোমবার ওই নথির প্রেক্ষিতে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনাররা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে নির্বাচন চালিয়ে যেতে ইসি সচিবালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।