বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
ইদানিংকালে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে এক নারী পর্যটক অপহরণ-ধর্ষন ও অবশেষে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক চারজন আসামী গ্রেফতার হয়। এ রকম ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া এ ধরণের অপরাধে দেশবাসী শংকিত ও হতভম্ব। বিষয়টি যেন প্রাচীন মহাভারতে উল্লেখিত দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের মতো। কেননা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় দ্রৌপদী যুধোযনের ভগ্নিপতি কর্তৃক বাগান থেকে অপহৃত হয়েছিল। জোর করে ঘোড়ায় চড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। হিন্দুধর্ম গ্রন্থ রামায়নে লংকারাজ রাবন কর্তৃক সীতা অপহরনের ঘটনার বিবরণ রয়েছে। আবার গ্রীক পুরাণে দেবরাজ জিউস কর্তৃক জোরপূর্বক তুলে আনা হয়েছিল সন্দরী ইউরোপাসকে। তাহলে সহজেই অনুমেয় যে, প্রাচীন সমাজে অপহরণকারীরা সকলেই ছিল দেবতা, রাজা কিংবা বীরযোদ্ধা। সমাজের কর্তত্ববাদী ও ক্ষমতাধর মানুষ। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও অপহরণ ও ধর্ষণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ধনীর দুলাল, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা ভীষন ক্ষমতাশালী ও বিত্তশালী মানুষ। তার প্রমাণ মেলে কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া হতভাগা নারীর ক্ষেত্রে। তার স্বামী জানিয়েছে যদিও দুর্বত্তরা গ্রেফতার হয়েছে। তবুও তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তির কারণে উনাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আদালতে সঠিক স্বাক্ষ্য দিতে পারেনি। অবশেষে এটাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এসব কেউকেটা ধরনের ছদ্মবেশী অপরাধীদের শুধু রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা নয়; সামাজিকভাবে চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা উচিৎ। নয়ত সমাজটা একদিন ওদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম