শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নড়েচড়ে বসার আগেই দল পুর্ণগঠনের নামে নেতাকর্মী ছাটাই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
অতি সম্প্রতি এমন কয়েকজন বিএনপির সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিস্ময়ের সৃস্টি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ এদের মধ্যে বরিশালে বিএনপির স্তম্ভ হিসেবে খ্যাত মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহানগর বিএনপি সভাপতির পদ থেকে। একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য ও বরিশাল সিটি
করর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি শুধু বরিশাল মহানগর নয়, গোটা বরিশাল জেলায় দলকে শক্তিশালী করতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। এর পরই ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের। তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় একই সময়ে বিএনপির ছাটাই প্রকল্পের শিকার হয়েছেন রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগরী বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। কয়েক দিন আগে একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো খুলনার কর্র্মী বান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত মহানগরী বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেখতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ খুলনা জেলা সভাপতির পদ হারিয়েছেন জিএম সিরাজ এমপি।
যে ক’জন নেতার নাম এখনো উল্লেখ করা হলো তাঁরা সবাই দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং দলকে সংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। দল এবং নেত্রীর এ চরম দু:সময়ে তাঁদের প্রতি এ নিষ্ঠুর আচরণ তাই সাধারণ নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। প্রায় সব জায়গাতেই অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও তা প্রকাশ্যে প্রতিবাদের রূপ নিয়েছে। পরিশেষে এটাও বলতে বাধ্য হচ্ছি-সাম্প্রতিককালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশ গমনে বাঁধা দিয়ে সরকারিদল আওয়ামীলীগও হীন মনমানসিকতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত দৃষ্টি ভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একশে টাইমস্ বিডিডটকম