মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
আজ ১৬ই জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো নাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সকলের তাক, কে হবেন মেয়র?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী: আওয়ামীলীগ মনেনীত ডা. সেলিনা হায়াত আই.ভি এবং বিএনপি থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত স্বতন্ত্রপ্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকার এ দু’জনের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। নৌকা বনাম হাতি মার্কার লড়াই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এই নির্বাচনে দাবার গুটি শামীম ওসমানের হাতে। সরকার দলীয়, দুর্দন্ত প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভোটের রাজনীতিতে নতুন রনকৌশল নিয়েছে এবং চির প্রতিদ্বন্ধী আই.ভি কে পরাজিত করার জন্য উনার এবারের কৌশল কিছুটা ভিন্ন মাত্রা পরিলক্ষিত হয়। প্রথমত: দীর্ঘদিন মেয়র পদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে বিনয়ী আই.ভি জন-মানুষের নেত্রী হিসেবে শুধু নিজ দলে নয়, সর্বমহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দর্লীয় ভোটব্যাংক গড়ে তোলেন। কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে সাংসদ মামীম ওসমান স্বেচ্ছায় আই.ভি সমর্থন করায় ভিন্ন মতালম্বী ভোটাররা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ ও অস্বস্তিতে আছেন। দ্বিতীয়ত: ক্ষুদ্র আকারে হলেও দলের মধ্যে সাংসদ শামীম ওসমানের অনগত একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই শিবিরটি শামীম ওসমানের আঙ্গুলী হেলনে হাতি মার্কায় ভোট দিলে আই.ভি বিপাকে পড়তে বাধ্য। যা সাপে-বর হবে। তৃতীয়ত: আওয়ামীলীগ বিরোধী শিবির ঐক্যজোট হয়ে তৈমুর আলম খন্দকারকে ভোট দিলে আই.ভি বিজয় অনেকটা অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য যে, সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলাম সমমনা দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে খেলাফত মজলিসের এ.বি.এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো: জসীম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস প্রমুখ প্রার্থীরা যদি স্বল্প আকারে ভোট টানতে পারে তবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির জন্য ইতিবাচক হয়ে দাঁড়াবে এবং আই.ভির ভোটের পাল্লা ভারি হবে। উনার বিজয় ঠেকানো তাহলে বেশ কঠিন। আর সাংসদ মামীম ওসমানের পাশা খেলা আই.ভির ভূমিধ্বস বিজয়ের কাছে হার মানবে। আমরা সেই প্রতীক্ষায় রইলাম।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম