মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়াদী উদ্যান) বলেন, উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই বক্তব্য তাৎক্ষনিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্ররা চিৎকার করে বলেছিলো ‘নো স্যার’ ‘নো স্যার’ এটা ছিল ভবিষ্যতের এক অলঙ্গনীয় দিক-নির্দেশনা। বাংলা ভাষা এবং বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠার বীজ বপন হয় সেই সময়ই। এরপর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ এবং ভাষা এগিয়ে চলে অপ্রতিরোধ্য ভবিষ্যতের দিকে। সার্থক হয় আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ।
পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন দুই প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন এবং নুরুল আমীন বর্ধমান হাউজের সরকারি ভবনে বাস করতেন। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময় এই ভবন থেকেই সমস্ত দমন-পীড়নের নির্দেশ আসত। সেই কারণে মানুষের মনে এই ভবনটির উপর এক বিরূপ ধারনার সৃস্টি হয়। ১৯৫২ সালের ২১-২২ ফেব্রুয়ারি যে বর্বর ধ্বংসলীলা চালানো হয়, সেই নির্দেশনাও আসে এই ভবন থেকেই। সালাম, বরকত, রফিক আরও কত জানা-অজানা তরুণের বুকের তাজা রক্তে সেদিন ঢাকার রাজপথ রক্তে ভিজে ওঠে। সে কারনেই এই বর্ধমান হাউজকে বাংলা ভাষার গবেষণাগার হিসেবে জোর দাবি উঠে। পরবর্তীকালে ১৯৫৫ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ আজীজুল হক নান্না মিয়ার নির্দেশে বর্ধমান হাউজকে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত করার নির্দেশ দেন এবং বাংলা একাডেমি নামে নামকরণ করা হয়। উল্ল্যেখ্য যে, ৫৪ যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ২১দফা নির্বাচনী ইসতেয়ারের অন্যতম দাবী ছিল বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম