একুশে ডেস্ক:
ক্রিকেটের সবচেয়ে জৌলুশময় বনেদি ফরম্যাট টেস্ট। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাফল্য গর্ব করার মতো নয়। এবার সেই দুঃখ ঘুচল দাপুটে জয়ে। যেনতেন দল নয়, এবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা ।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সাদা পোশাকে রঙিন মুমিনুল হকের দল। ভোরের সূর্য উকি দেওয়ার আগেই যেন সেই রঙ মিশে গেল বাংলাদেরে ক্রিকটেপ্রেমীদের মাঝে। হ্যা টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারাল বাংলাদেশ। এ এক ইতিহাস।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ খ্রিস্টাব্দ শুরু বাংলাদেশ দলের। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। পরে নিজেরা করে ৪৫৮ রান। এতে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক শিবির। তারা অলআউট হয় ১৬৯ রানে। এতে ৪০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে সে লক্ষ্যে ৮ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় টাইগাররা।
স্মরণ করতে না চাইলেও বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নাই। একে একে টানা ৩২ ম্যাচ হারের পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের সবগুলোতে হার টাইগারদের। ৯ টেস্টে সাফল্য নেই একটিতেও। অবশেষে সে আক্ষেপ ঘুচেছে।
ম্যাচের পঞ্চম ও শেষদিনে সকালেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। সাদমান ইসলাম ফেরেন ৩ রান করে, ক্যাচ দিয়ে।
ইনজুরিতে পড়া মাহমুদুল হাসান জয়ের পরিবর্তে তিন নম্বর থেকে ইনিংস শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ফেরেন ১৭ রান করে। পরে অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম দলের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। ১৭ ওভার খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। বাকি থাকে আরও ২ সেশন। এতেই আসে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের জয়।
মুমিনুল ১৩ এবং মুশফিক ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের সঙ্গে উপমহাদেশীয় কোনো দল ১০ বছর পর সেখানে টেস্ট জিতল।