একুশে ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও’র আশঙ্কা, এবার কোনো নতুন ঢেউ নয়, করোনাভাইরাসের সুনামি আসন্ন।
নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একটি অংশে এখন এটিই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধরন। ইউরোপের অনেক দেশেই আগের সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। পুরো ইউরোপে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় জার্মানিতে সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বড়দিনের পর সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনেও সীমাবদ্ধতা দিয়েছিল দেশটি। সুইডেনে ক্যাফে ও বারে লোকসমাগম কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পেশাজীবীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর তথ্যে, গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওমিক্রন ও ডেল্টার জোড়া আঘাত কোভিড-১৯ সংক্রমণের সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের চাপ প্রয়োগ করবে। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯২ দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককেও টিকা দেওয়া হয়নি। টেড্রোস আহ্বান জানান, দেশগুলো নতুন বছরের জুলাইয়ের আগেই যাতে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে।