বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
সম্প্রতি র্যাব এবং এ বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তার মধ্যে আছেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক যিনি বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক। তার সঙ্গে আছেন র্যাবের বর্তমান ডিজি। আছেন উর্ধ্বতন আরও পাঁচ কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর ২০২১ উল্লেখিত সাত র্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চীন, মিয়ানমান ও উত্তর কোরিয়ার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বহুদিনের রাজনৈতিক বিভেদ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ করে বর্তমান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ঈর্ষা করার মতো। তাই আচমকা আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেশে ও বিদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
অনেকে মনে করেন এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য আরও খারাপ হতে পারে। বিভিন্ন কারণে বাইডেন প্রশাসন যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কমিয়ে অধিকতর বেরী অবস্থান নেয়, তাহলে তা ঢাকাকে বেইজিংয়ের বলয়ে ঠেলে দিতে পারে। ইতিমধ্যে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বাড়িয়েছে চীন।
তবে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ‘ভুল ও মিথ্যা’ তথ্যের ভিত্তিতে থিওরি দিয়েছে। কিন্তু এই তথাকথিত ‘ভুল ও মিথ্যা তথ্য’ সরবরাহ করার দায় সরকার বিরোধীদের ওপর পরিস্কারভাবে চাপিয়ে দিয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বিরোধী একটি চক্র যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত করতে চায়, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করতে চায়, তারাই আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপের সহায়তায় ভুল, মিথ্য ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করেছে।’
পর্যবেক্ষণে মনে হয় বর্তমান সরকার আমেরিরকার বৈরীতাকে পাত্তা দিচ্ছেনা। চীনের সাহায্য পাবে, এই আশায়। সেই আশা যদি ‘গুঁড়েবালিতে পরিনত হয়’ তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে বাধ্য। কারণ আওয়ামীলীগের বর্তমান আমলেই শুধু চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মধুর। অতীতে সম্পর্কটা ভীষন তিক্ততার। তাই বোধহয়, ’৭৫ বঙ্গবন্ধুর মত্যুর পরদিন চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। ভুলে গেলে চলবেনা আমাদের’৭১ মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকার পাশাপাশি চীনও পাক সরকারকে সহায়তা করেছে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম