মসজিদে নির্ধারিত ইমাম, মুয়াজ্জিন না থাকলে একই ব্যক্তি আজান-ইকামত উভয়টি বলতে পারেন এবং ইমামতি করতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এলাকাবাসীর কর্তব্য হচ্ছে এজন্য পৃথক লোক নির্ধারণ করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশে হজরত বিলাল (রা.) আজান দিয়েছেন এবং হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রা.) ইকামত দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ৫১২)।
হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও ইকামত দিয়ে নিজেই ইমামতি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। হজরত উকবা ইবনে আমের জুহানি (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। পথিমধ্যে রাত যাপনের পর যখন ফজর উদিত হলো তখন তিনি আজান দিলেন এবং ইকামত দিলেন।
অতঃপর আমাকে তার ডান পাশে দাঁড় করিয়ে তিনি নামাজে ইমামতি করলেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৩৭০৮; ফাতহুল কাদির : ১/২২৩; ফাতাওয়া খানিয়া : ১/৭৯; আলবাহরুর রায়েক : ১/২৫৭; বাদায়েউস সানায়ে : ১/৩৭৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৫০; আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৯৫)