শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হলো সশস্ত্র মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস। এমন রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। পৃথিবীর আর কোনো দেশের মুক্তিসংগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মতো এতো রক্ত দিতে হয়েছে কিনা অথবা ৩০ লক্ষ লোকের প্রাণ বিসর্জন ও দু’লক্ষ মা বোনকে সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে হয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী মানুষ প্রায় অর্ধশতাব্দী কাল ধরেও দলখদারদের বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রাম করে যাচ্ছে। এখনো তারা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু বাঙালি জাতি মাত্র নয়মাসের মাথায় দেশকে দখলদার মুক্ত করে পৃথিবীতে বীরের জাতি হিসাবে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। বীরবাঙালি ও শান্তির অগ্রদূত বলে পরিচিত। বাংলাদেশী সৈনিকেরা আজ বিশ^জয়ের নেশায়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় কর্তব্যরত।
১৯৭০ সনের প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাঙালিদের অভুতপূর্ব বিজয় ও ১৯৭১ সনের মুক্তিসংগ্রামে আমরা সফল হয়েছি। সর্বসাধারনের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হয়েছিল- কিছু মূল্যবোধ ও দাবীকে সামনে রেখে। যেমন, অর্র্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, দেশীয় সম্পদ দেশে রক্ষনাবেক্ষন ও ভোগ করা, বাঙ্গালি ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি রক্ষনাবেক্ষন প্রভৃতি। মূলত: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। দেখতে দেখতে স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দেশের আম-জনতা কী বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন যে, তাদের বাক-স্বাধীনতা আছে ? দেশের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীরা নির্ভীকভাবে কি তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছেন? যদি তাই না হয়, তাহলে প্রশ্ন জাগে এ কেমন স্বাধীনতা!
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম