সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধে শুধু সমগ্র বিশ্বের মুক্ত চিন্তার মানুষের আকুণ্ঠ সমর্থন ছিল নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালীদের প্রতি। মানবতাবাদী বিশ্ববরেন্য রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, চিত্রশিল্পী, গায়ক, সাহিত্যিক প্রমুখ ব্যক্তিগণের সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত আমাদের যুগিয়েছিল উদ্দাম উৎসাহ ও উদ্দীপনা। উল্লেখ্য যে-
ক) প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসী সাহিত্যিক আঁন্দ্র্রে মালরো:
“ফ্রান্স ও অন্য স্থানের যেসব স্বেচ্ছাসেবক আমার সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত ছিল, তারা ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। সে সময়ে তারা ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবশ্যই জানতো। দুটি ঘটনা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। আর সেক্ষেত্রে বায়াফ্রার স্মৃতি তাদের মনে এক ট্র্যাজিক আবেদন সৃস্টি করেছিল। (১) দলে দলে শরণার্থীদের অবস্থান (২) বাঙালি নিশ্চিহ্নকরন।”
খ) নিকোলাই পদগোর্নি, সোভিয়েত রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট :
“সামরিক বল প্রয়োগে অগণিত মানুষের প্রাণহানি নিপীড়ন ও দু:খ কষ্টের খবরে সোভিয়েত জনগণ বিচলিত না হয়ে পারে না। শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বন্দি এবং নির্যাতন চালানোয় সোভিয়েত ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”
গ) সাইমন ড্রিং, বিট্রিশ সাংবাদিক: “আল্লাহর নাম আর অখন্ড পাকিস্তান রক্ষার অজুহাতে ঢাকা আজ ধ্বংপ্রাপ্ত এবং ভীত নগরী। ঠান্ডা মাথায় পাকিস্তানি সৈন্যদের ২৪ ঘন্টা গোলাবর্ষণের পর এ নগরীর ৭ হাজার মানুষ নিহত, বিশাল বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার লড়াইকে নির্মমভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ঘ) রবার্ট পেইন, মানবাধিকার কর্মী: “আত্মসমর্পনের পর রাও ফরমান আলি ড্রয়ারে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছিল। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত কথা তাতে লেখা ছিল। এ রকম একটি কাগজে উৎকীর্ণ ছিল যে বাক্যটি তা হলো ‘পূর্ব পাকিস্তানের সবুজকে লাল রঙে রাঙিয়ে দিতে হবে এবং তা মানুষেরই রক্তে।”
ঙ) জন.কেলি, বিবিসি সাংবাদিক: “রোজ রাতে দেখতে পেতাম ঢাকা শহর ঘিরে একটি অগ্নিবলয়া চারপাশের গ্রাম সব জ্বলছে। এই দৃশ্যটি এখনও আমাকে বিষন্ন করে।”
আমরা তোমাদের ভুলব না এবং চিরঋণী হয়ে থাকব।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম