শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

শাহজালালে বেসামাল যাত্রীসেবা, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যস্ত

শাহজালালে বেসামাল যাত্রীসেবা, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যস্ত

ছবি: সংগৃহীত

রানওয়ে বন্ধ থাকায় রাতে চলাচলকারী ২০ ফ্লাইটের অতিরিক্ত চাপে দিনের বেলায় লন্ডভন্ড হয়ে পড়ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এতে বেসামাল হয়ে পড়ছে যাত্রীসেবা। টার্মিনালে পর্যাপ্ত ট্রলি নেই। যেগুলো আছে, এর অধিকাংশই নষ্ট। কাউন্টার থাকলেও নেই পর্যাপ্ত ইমিগ্রেশন পুলিশ। একটিমাত্র মেশিনের কারণে লাগেজ স্ক্যানিংয়ে দেশে ফেরা যাত্রীদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতিটি বিভাগে আছে চরম জনবল সংকট। উড়োজাহাজ থেকে বেল্টে মালামাল আসতে লেগে যাচ্ছে ১ থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি। মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও চরমে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান যুগান্তরকে বলেন, রাতে ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে উড্ডয়ন-অবতরণ মিলে প্রায় ২০টি ফ্লাইটের জন্য দিনের বেলায় নতুন শিডিউল করতে হয়েছে। প্রথমদিকে জনবল সংকটসহ নানা কারণে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এখন আস্তে আস্তে সবকিছু স্বভাবিক হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, রাতে ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকায় যদি কোনো উড়োজাহাজকে জরুরি অবতরণ করতে হয়, তাহলে সিলেটের ওসমানী ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য ওই দুই বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রলি সংকটের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন কাউন্টারগুলোয় দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় এখন।

জানা যায়, বিমানবন্দরে বর্তমানে ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সংখ্যা অনেক হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন না হওয়ায় ৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার পর শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়তে পারেনি কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। সেদিন অনেক কাউন্টারেই ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। একই অবস্থা এখন প্রতিদিনই হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরের পর এখন এই লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিদেশগামীদের জন্য বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে মোট তিনটি গেটে ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে মোট চার হাজার মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী চলাচল করেন। এই তিনটি ইমিগ্রেশন গেট চার হাজার যাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত নয়। মাঝেমধ্যে দুটি গেটের কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলে। জনবল না থাকায় একটি বন্ধ থাকে। যে দুটি গেট খোলা, ওই দুটির অনেক কাউন্টারেও ইমিগ্রেশন অফিসার থাকেন না। সব মিলে হযবরল অবস্থা।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana