সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
বিগত আট চল্লিশ ঘন্টায় দুটি ঘটনা দেশব্যাপী বেশ আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। প্রথমটি হলো: অভ্যন্তরীন এবং দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক। ঘটনা দুটি পৃথক পৃথক হলেও কোথায় যেন একটা যোগসূত্রের আভাস পাওয়া যায়। অনেকটা ‘ইঁদুর মরা গন্ধের মতো’।
প্রথমত: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধীদলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা লিভার সিরো সিসে আক্রান্ত হয়ে ভীষণ অসুস্থ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্টে যেতে চাইলে, আইনী বাঁধায় পড়েন। সরকার কারন দেখিয়েছে- তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী; তাই সাংবিধানিক বাঁধা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে উদারতা দেখিয়ে রাষ্টপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে তাকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারতেন। যেখানে রাষ্ট্রপতি তার বিশেষ ক্ষমতাবলে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকেও ক্ষমা করে দিতে পারেন বা দিচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত: মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের পররাস্ট্র দপ্তরের একটি উইং গতকাল মানবাধিকার হরনের কারণে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক সহ মোট ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র গমনে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। কারণ এরা বিচার বহির্ভূত ক্রসফায়ারে সম্পৃক্ত। আমার প্রশ্ন হলো? যখন বিচার বহির্ভূত ক্রসফায়ার ব্যপকভাবে হচ্ছিল, তখন তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন প্রকার কূটনৈতিক প্রতিবাদ করেনি। তখন কি বাংলাদেশে অবন্থানরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঘুমিয়ে ছিলেন! সেই সময় এই সরকারকে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রয়োজন ছিল। আর এখন বোধ হয় প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। হাস্যকর বিষয় হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রভাবকে অক্ষুন রাখতে বিশ্বব্যাপী নিরীহ মানুষের উপর বোমা ফেলে, গুম বন্দী করে গোপন কারাগারে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। তাদের মুখে কি মানবতার কথা মানায়! বর্তমান সরকারের জন্য এরা হলো “ঘাপটি মেরে থাকা বাঘ।”
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশেটাইমস্ বিডিডটকম