শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

দিনশেষে ৮ উইকেটে হার মেনে নেয় টাইগাররা

দিনশেষে ৮ উইকেটে হার মেনে নেয় টাইগাররা

পাঁচদিনের টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯৩ রান, হাতে ১০ উইকেট আর ৯৬ ওভার। বলা যায় জয়ের পাল্লা ভারি নিয়ে শেষদিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত জয় ধরাও দেয়। বাংলাদেশ মেনে নেয় ৮ উইকেটের হার।
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে লিড নিয়েও ৮ উইকেটের ব্যবধানে হার। ৯৬ ওভার হাতে থাকলেও মাত্র ১৬ ওভারেই আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলি দ্বিতীয় ইনিংসে আক্ষেপে পুড়ে আউট হন ৯১ রানে। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক প্রথম ইনিংস ফিফটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৭৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে উইকেট দুটি নেন মিরাজ আর তাইজুল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে আটকে দেয় টাইগাররা। এতে ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন মুমিনুল হকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সব মিলিয়ে জয়ের জন্য ৪র্থ ইনিংসে পাকিস্তানের প্রয়োজন ২০২ রান। ম্যাচের চতুর্থ দিনে কোন উইকেট না হারিয়ে ১০৯ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা।
ম্যাচের শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে মাত্র ৯৩ রান, হাতে ১০ উইকেট আর ৯৬ ওভার। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটম্যান আবিদ আলি ৫৬ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৫৩ রান নিয়ে শেষদিনের খেলা শুরু করেন। এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলামকে শুরু থেকে সমীহ করে খেললেও পরে আগ্রাসী ভূমিকায় দুজন। দিনের ষষ্ঠ ওভারে তাইজুলকে টানা ৩ বাউন্ডারি মারেন আবিদ। পরে আবু জায়েদ রাহি এলে তাকেও ছেড়ে কথা বলেননি সফরকারীরা।
নতুন ব্যাটসম্যান আজহার আলি দেখে খেললেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন আবিদ। ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে ১৪৮ বল খেলে ৯১ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন আজহার ও অধিনায়ক বাবর আজম। দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে সকালের সেশনেই ম্যাচের ফলাফল এনে দেন দুজন। ৮ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে আজহার ২৪ ও বাবর ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন। ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেও আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে বাংলাদেশ দলের সামনে।
পাকিস্তান দলেরও যেন দ্রুত ম্যাচ শেষ করার তাড়া ছিল। এতে হলো বিপত্তি। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে মিরাজকে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি শফিক। বলে গিয়ে লাগে ভেতরের পায়ে। পার পাননি শফিক। ৭৩ রানে থামে তার ইনিংস। অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসেও খেলেন ৫২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana